
ছবি : সংগৃহীত
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) প্রধান কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ‘ছাত্র-জনতা’। বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে কেএমপি কার্যালয় ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ও ‘ছাত্র-জনতা’। জুলাই অভ্যুত্থানে হামলার অভিযোগে এসআই সুকান্ত দাশকে আটকের পরে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার দুপুরে এই কর্মসূচি শুরু হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এছাড়া মূল ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। ফলে রূপসা থেকে শহরে প্রবেশ পথ বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে মহানগরীর ইস্টার্নগেট এলাকা থেকে সুকান্তকে খানজাহান আলী থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তাকে আর কোনো থানায় পাওয়া যায়নি। অভিযোগ উঠেছে সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কেএমপি সূত্রে জানা গেছে, এসআই সুকান্ত দীর্ঘদিন সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালে তাকে খুলনা সদর থানায় বদলি করা হয়। গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথমে তাকে ঢাকায় ও পরে চুয়াডাঙ্গায় বদলি করা হয়। একটি মামলার সাক্ষ্য দিতে মঙ্গলবার তিনি খুলনায় আসেন। সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে তাকে মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার কালবেলাকে বলেন, ‘এসআই সুকান্ত একজন পুলিশ সদস্য, পলাতক নয়। তিনি এখন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের আন্ডারে আছে। তাই পুলিশ সুপার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে যদি কোনো অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যবস্থা নিতে হয় তাহলে সেটা নিতে পারে।’
এখানে তাকে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।