.png)
যশোর শহরের বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় বাজারে স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমলেও মাছ চড়া দাম অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার যশোর শহরের বড়বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিন দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে সোনালি কক মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিডের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৭০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি ২০ টাকা কমে ২৯০ টাকা এবং সাদা লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা দরে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ১৬০ টাকায়।
অন্যদিকে, গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় বাজারে স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। বেগুন, করলা, কচুর লতি, পটল, বরবটি, কচুরমুখী, ধুন্দলসহ বিভিন্ন সবজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। দেশি ও হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৫০ ও ৪০ টাকা কেজি দরে। লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা এবং ক্যাপসিকাম বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কাঁকরোল ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৪০ ও ৩০ টাকায়।
তবে মাছের বাজারে এখনো চড়া দাম লক্ষ্য করা গেছে। এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ টাকা, আর ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২৪০০ টাকায়। চাষের শিং মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি শিং ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি মাগুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাষের রুই ও মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকা এবং পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিংড়ি মাছের কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং কৈ ও তেলাপিয়া যথাক্রমে ২৩০ ও ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গরু ও খাসির মাংসের দাম বাড়েনি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস প্রতি কেজি ১১০০ টাকায়।
এদিকে মসলা ও ডালের বাজারেও চড়া দাম বিরাজ করছে। আদার কেজি ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, দেশি রসুন ১৩০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা এবং ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি দরে। লাল ডিমের প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
