
সরকারি চাকরিজীবী, পেনশনভোগী এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা বা বিশেষ সুবিধা বাড়িয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে চাকরিজীবীরা ন্যূনতম এক হাজার ৫০০ টাকা এবং পেনশনভোগীরা ন্যূনতম ৭৫০ টাকা হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন। সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব দিলরুবা শাহীনার স্বাক্ষরে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয় চাকরিজীবীরা ন্যূনতম এক হাজার ৫০০ টাকা হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন। পেনশনভোগীরা ন্যূনতম ৭৫০ টাকা হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন। যাদের মাসিক পেনশন ১৭ হাজার ৩৮৯ টাকা বা তার বেশি, তারা ১০ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন। যাদের মাসিক পেনশন ১৭ হাজার ৩৮৮ টাকা বা কম, তারা ১৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
এ সিদ্ধান্ত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদনের পরপরই নেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ রোববার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সংশোধনের ঘোষণা দেন। এর একদিনের মধ্যেই নতুন প্রজ্ঞাপন জারি হলো।
প্রতিরক্ষা সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছেÑওয়ারেন্ট অফিসার বা সমতুল্য পদ এবং ঊর্ধ্বতনরা মূল বেতনের ১০ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন। সার্জেন্ট বা সমতুল্য ও নিচের পর্যায়ের সদস্যরা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ হারে পাবেন। জেএসআই এর আওতায় পেনশনভোগীরা পাবেন বেসামরিক পেনশনভোগীদের মতো সুবিধা।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বেতন ও ভাতা) আদেশ, ২০১৬ অনুযায়ী-বিচারকরা মূল বেতনের ১০ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন। মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাবেন ১৫ শতাংশ হারে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে-গ্রেড ৯ ও তার ঊর্ধ্ব গ্রেডের শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ১০ শতাংশ হারে সুবিধা পাবেন। গ্রেড ১০ এবং নিচের গ্রেডের শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ হারে সুবিধা পাবেন।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই জারি হওয়া অর্থ বিভাগের বিশেষ সুবিধা সংক্রান্ত সব আদেশ বাতিল করা হলো।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন এই বিশেষ সুবিধা কার্যকর হবে ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে।