মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫

১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

খুলনার সাবেক মেয়র, এমপি, পুলিশ  কমিশনারসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সংবাদদাতা, খুলনা

প্রকাশিত: ১৪:০৯, ২৫ জুন ২০২৫

আপডেট: ১৫:৩৩, ২৫ জুন ২০২৫

খুলনার সাবেক মেয়র, এমপি, পুলিশ  কমিশনারসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সামনে গুমের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক পুলিশ কমিশনারসহ ২৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক এবং খুলনা জেলা শাখার সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ রানা।


অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের শুরু থেকে খুলনায় কোটা সংস্কার আন্দোলন সংগঠিত করতে থাকেন সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি। ১৬ জুলাই আন্দোলনের পূর্বঘোষিত সড়ক ও রেল অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিতে ইজিবাইকে যাওয়ার পথে সোনাডাঙ্গা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সামনে অজ্ঞাত মুখোশধারী আওয়ামী লীগ ক্যাডার ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তার গতিরোধ করে।


তাকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে হাত-পা-চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে এবং মুখে কাপড় গুঁজে দেয় যাতে চিৎকার করতে না পারেন। পরে তাকে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে অন্ধকার ঘরে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয় এবং আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পর তাকে খুলনার আড়ংঘাটা বাইপাস মোড়ের পাশে একটি ফাঁকা বাগানে ফেলে রেখে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে।


অভিযোগে যে ২৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ জুয়েল, শেখ হেলাল, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আক্তারুজ্জামান বাবু, বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, সালাম মুর্শিদী, যুবলীগ নেতা শেখ সোহেল, কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হক, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, এবং পুলিশের কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা।


অভিযোগকারী সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, ‘শেখ হাসিনার শাসনামলে জুলাই অভ্যুত্থান দমনের জন্য যারা আমাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমি অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি। পাশাপাশি তদন্ত সংস্থার কাছে অনুরোধ করছি, যারা মুখোশ পরে বা অন্যভাবে এ ঘটনায় জড়িত ছিল, তাদেরও খুঁজে বের করা হোক।’
 

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

শীর্ষ সংবাদ: