
সড়ক দু‘ঘটনা রোধে “নো হেলমেট নো ফুয়েল“ নির্দেশনা মানছেন না কেশবপুরের ফিলিং ষ্টেশনের মালিকরা। সড়ক-মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে গত ২০ মে ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন (বিআরটিএ) কর্তৃপক্ষ দেশব্যাপী ওই নির্দেশনা জারি করে।
জানা যায়, যশোরের কেশবপুর পৌর সদরের থানার ৬০ ফুট দুরে অবস্থিত মেসার্স এম ভি ফিলিং ষ্টেশন। এছাড়া মধ্যকুল এলাকায় কেশবপুর ফিলিং ষ্টেশন ও থানার মোড়ে সরকারি ডিগ্রী কলেজের সামনে যমুনা ফিলিং ষ্টেশনসহ ৫টি ফিলিং ষ্টেশন রয়েছে। অন্য দুইটি সগরদাঁড়ি ও মির্জানগরে গ্রামে অবস্থিত। এসব পাম্পে হেলমেড ছাড়াই মোটর সাইকেলে অবাদে প্রেট্রল ও অকটেন বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া ওই পাম্প গুলোতে প্রতি লিটারে ১০০ গ্রাম করে তেল কম দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সূত্র জানায়, পাম্পের মালিকরা বেশী মোনাফা করতে দেশের বিভিন্ন তেল ডিপো থেকে গভীর রাতে পচা ও বাদ দেয়া তেল আমদানী করে তা প্রেট্রল ও অকটেনের সাথে মিশিয়ে বিক্রি করে আসছে।
ওই তেল ব্যবহারের অযোগ্য বলে একাধিক মোটর সাইকেল মিস্ত্রি এই প্রতিনিধিকে জানান। এতে যান-বাহনের ইজ্ঞিন বিকলসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এদিকে সারাদেশে অল্প বয়সী তরুনরা মহাসড়ক ও দুরপাল্লার সড়কে দ্রুত গতিতে ঝুকি পুর্ণ ভাবে মোটর সাইকেল চালাচ্ছে। যা অত্যন্ত বিপদ জনক। এমনকি মোটর সাইকেল চালানো কালে তারা হেলমেডসহ নিরাপত্তার সরজ্ঞাম ব্যবহার করছে না। এতে সড়কে মৃত্যুর হার বাড়ছে। একারনে সরকার সড়ক ও পরিহবন আইন ২০১৮ ধারা ৪৯ এর উপধারা-১, (চ) এবং সড়ক পরিহন বিধিমালা ২০২২ বিধি- ১৩৬, (২) অনুযায়ী মোটর সাইকেল চালক ও তার সহযাত্রিদের অবশ্যই বিএসটিআই কর্তৃক নির্দেশনা অনুযায়ী হেরমেট পরিধান বধ্যতা মূলক করা হয়েছে।
কেশবপুরের মোটর সাইকেল চালক আকরাম আলি, সাগর এবং নিছার আলি বলেন, পৌর শহরে অবস্থিত মেসার্স এমভি ফিলিং ষ্টেশন, কেশবপুর ফিলিং ষ্টেশন এবং যমুনা ফিলিং ষ্টেশনে প্রেট্রল ও অকটেন আনতে গেলে অধিকাংশ সময় লিটারে প্রায় ১০০ গ্রাম তেল কমদেয় এবং পচা দু‘গন্ধ জাতীয় তেল সরবরহ করে। এর প্রতিবাদ করলে তারা তাদের ওপর চড়াওসহ বিভিন্ন হুমকি দেয়। ভুক্তভোগীরা কেশবপুরের তেল পাম্প গুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
কেশবপুর মেসার্স এমভি ফিলিং ষ্টেশনের মালিক সুনিল কুমার ঘোষ বলেন, এলাকার অধিকাংশ মোটর সাইকেল চালক হেলমেট ব্যবহার করেনা। তাই হেলমেট ছাড়াই তেল দেয়া হয়। এছাড়া গাড়িতে তেল দিতে গেলে অনেক সময় যান্ত্রীক ক্রটির কারনে তেল কম যায় এবং মাঝেমধ্যে ডিপো থেকে দু‘গন্ধ জাতীয় তেল সরবরহ করা হয়। আমরা বাধ্য হয়ে গ্রাহকদের কাছে ওই তেল সরবরহ করি।