মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫

১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়ে ২১.৭৫ বিলিয়ন ডলার

রানার প্রতিবেদক, ঢাকা অফিস

প্রকাশিত: ১৪:০১, ২৫ জুন ২০২৫

আপডেট: ১৫:৩৩, ২৫ জুন ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়ে ২১.৭৫ বিলিয়ন ডলার

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত ব্যালান্স অব পেমেন্টস ম্যানুয়াল (বিপিএম৬) পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারে (২ হাজার ১৭৫ কোটি ডলার) দাঁড়িয়েছে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সোমবার রাতে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, একই সময়ে গ্রস হিসাবে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার।
রিজার্ভ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিগত দুই-তিন বছরের ডলার সংকট এখন কেটে গেছে। ব্যবসায়ীরা এখন প্রয়োজন অনুযায়ী এলসি খুলতে পারছেন। বিনিময় হারও বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হলেও ডলারের দর স্থিতিশীল রয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।’


২০২০ সালে কোভিড মহামারীর সময় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল এবং ৫০ বিলিয়নের দিকে অগ্রসর হয়েছিল। তবে কোভিড-পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বাড়ায় আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পায় এবং রিজার্ভ হ্রাস পেতে থাকে।


২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সবশেষ রিজার্ভ ২২ বিলিয়নের ঘরে ছিল। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করলেও আকু দায় পরিশোধের কারণে ৬ মে আবার তা ২২ বিলিয়নের নিচে নেমে যায়। ফলে গত ৪৮ দিন ধরে রিজার্ভ ২২ বিলিয়নের নিচে রয়েছে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের পরিবর্তনের পর প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেলেও রিজার্ভ আশানুরূপ বাড়েনি। এর পেছনে কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার পর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ থাকলেও পূর্বের বকেয়া ঋণপত্রের দায়, ঋণ ও সেবার মাশুল পরিশোধে রিজার্ভ ব্যবহার হয়েছে।
তারা আরও জানান, রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে এবং রিজার্ভ ক্ষয়ের হার অনেকটা কমেছে।
 

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

শীর্ষ সংবাদ: