
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখমের জেরে হামলাকারী গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সোনাকুড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারী মোটরসাইকেল আরোহী এক ব্যক্তির মাথায় দা দিয়ে কোপ দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় হামলাকারী ব্যক্তিকে আটক করে দড়ি দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত রফিকুল ইসলাম ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
রফিকুলের কোপে আহত হয়েছেন একই গ্রামের আজগার আলীর মেয়ের স্বামী জহর আলী ।
স্থানীয়রা জানান, এদিন সকালে জহর শ্বশুর বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে বাঁকড়া বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে রফিকুল তার মাথায় দা দিয়ে কোপ দেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী রফিকুলকে দড়ি দিয়ে বেঁধে পিটুনি দেয়। একপর্যায়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আহত জহরের স্ত্রী নাজমা খাতুন বলেন, আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশী রফিকুলের ব্যক্তিগত অথবা পারিবারিক কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না। টাকা-পয়সারও কোনো লেনদেন নেই। কী কারণে আমার স্বামীকে কোপ দিয়েছেন, বুঝতে পারছি না।
বাঁকড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক সাহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সোনাকুড় থেকে রফিকুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের পাশে দড়ি পাওয়া গেছে।
ঝিকরগাছা থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, নিহত রফিকুল ইসলাম মাদকাসক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তিনি জহর আলী নামের এক ব্যক্তিকে দা দিয়ে আঘাত করায় উত্তেজিত জনতা তাকে পিটুনি দেয়। একপর্যায়ে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।