
খুলনা বিভাগে খাদ্যশস্য সংগ্রহ, মজুদ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে যশোরে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে খাদ্যশস্যের মজুদ অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। প্রচুর বোরো ধান উৎপাদনের ফলে চালের দাম শিগগিরই সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
তিনি বলেন, গতবছরের তুলনায় দেশে এবার খাদ্যশস্যের মজুদ ৩ লাখ টন বেশি। নিরাপদ মজুদ হিসেবে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করছে সরকার। ওএমএসসহ বিভিন্ন খ্যাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ওই মজুদ কাজে লাগানো হবে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় যশোর সার্কিট হাউসের কনফারেন্স রুমে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, দেশে সাড়ে তিন লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সেটি অতিক্রম করে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিকটনে পৌঁছেছে। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জনের পথে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সেটি অর্জিত হবে।
চালের ঊর্ধ্বমুখী বাজার দরের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট দায়ী বলে অভিযোগ রয়েছে। সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হয়েছে কী না সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মতবিনিময় সভায় খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, সরবরাহ কমে গেলে বাজারে চালের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু দেশের বাজারে সরবরাহের কোনো সংকট নেই। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী ৬ মাস ৫৩ লাখ পরিবার প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে। আগামী মাসের মাঝামাঝি শুরু হবে এই কার্যক্রম। এতে বাজারের চালের ওপর চাপ কমবে। ফলে ব্যবসায়ীদের দাম বাড়ানোর প্রবণতা কমে যাবে ও স্থিতিশীল হবে চালের বাজার।
মতবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর, যশোরের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) আজাহারুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস, খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরী। এ ছাড়াও খুলনা বিভাগের সব জেলার ডেপুটি কমিশনার ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা উপস্থিত ছিলেন।