
মোংলায় ১০ প্রজাতির আট হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। ভারতীয় জেলেদের দুটি ট্রলার থেকে ইলিশসহ অন্তত ১০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ জব্দের পর সেগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়। অবৈধভাবে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকারের সময় তাদের আটক করা হয়। আটক জেলেদের মঙ্গলবার বাগেরহাট জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকার করা ৩৪ ভারতীয় জেলেকে আটক করে নৌবাহিনী। এ সময় ‘এফবি ঝড়’ ও ‘এফবি মঙ্গল চণ্ডি-৩৮’ নামে ভারতীয় দুটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিয়মিত টহল চলাকালে জাহাজের রাডারে সন্দেহজনক মাছ ধরার ট্রলারের উপস্থিতি লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সূত্রমতে, নৌবাহিনী এগোতে থাকলে মাছ ধরার ট্রলারগুলো পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গত সোমবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাতে নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে দুটি ভারতীয় ট্রলারকে বাংলাদেশের জলসীমার মধ্যে আটক করেন। এ সময় অবৈধভাবে মাছ শিকার করা ভারতীয় জেলেদের দুটি ট্রলার থেকে ইলিশসহ অন্তত ১০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়। এরপর জব্দকৃত আট হাজার কেজি মাছ নিলামে তুলে বিক্রি করে স্থানীয় মৎস্য অফিস। সোমবার রাত ১১টা থেকে নিলাম শুরু হয়। সর্বোচ্চ দাম ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায় মাছগুলো কিনে নেয় সাগর ফিশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এর সঙ্গে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) যোগ হয়ে মোট দাম হয় ১৭ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা।
মোংলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ অনুযায়ী শিকার হওয়া অবৈধ মাছ নিলামে তুলে বিক্রির বিধান রয়েছে। এ কারণে অবৈধভাবে ভারতীয় জেলেদের জালে ধরা ইলিশ, বেলে, রূপচাঁদা, ছুরি, চিংড়িসহ ১০ প্রজাতির আট হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছ নিলামে তুলে বিক্রি করা হয়।
মোংলা থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, ‘আটক ৩৪ ভারতীয় জেলের বিরুদ্ধে সমুদ্র আইন (২০২০) ২৫ (এ) বা মেরিন ফিশারিজ ল’ ধরায় মামলা হয়েছে। মোংলা নৌঘাঁটির পেটি অফিসার রেজাউল করিম এই মামলা করেন। আসামিদের বাড়ি ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায়। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।