
পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার পর এবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি বহরে হামলা, ভাঙচুর করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র লীগসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৬ জুলাই) সদর উপজেলার কংশুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসান তার গাড়ি বহরে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে টহলরত পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন দেয় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মাসজুড়ে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে বুধবার গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে পদযাত্রার কর্মসূচি রয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। এতে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশ নেওয়ার কথা। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এ কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে গোপালগঞ্জে।
গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচি নিয়ে মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে নাহিদ ইসলাম লিখেন, ১৬ জুলাই…মার্চ টু গোপালগঞ্জ।
নাহিদ ইসলাম ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ অন্যরাও গোপালগঞ্জের কর্মসূচি নিয়ে পোস্ট দেন। নাহিদ ইসলামের মতো একই পোস্ট দেন তিনি। নিজের ওই পোস্টের কমেন্টে সারজিস লেখেন, আমরা আসছি! জুলাই পদযাত্রায়, গোপালগঞ্জ জেলা শহরে, সকাল ১১ টায়।
সারজিস আলম অপর এক পোস্টে লেখেন, বিপ্লবের সহযোদ্ধারা, ধুমকেতুর মতো ছুটে আসুন।