
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ইজিবাইক ছিনতাই ও চালক হাসান আলী হত্যার ঘটনায় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি ইউনিয়ন থেকে ঘাতককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার তাকে ইউনিয়নের জাফরনগর গ্রাম থেকে ঘাতক ইব্রাহিমকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ইউনিয়নের উত্তর নবীনগর এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক উদ্ধার করেছে কলারোয়া থানার পুলিশ।
নিহত হাসান আলী (৫০) যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার বেনেয়ালী গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে। ঘাতক ইব্রাহিম হোসেন একই উপজেলার গদখালি ইউনিয়নের জাফরনগর গ্রামের মৃত মুজিবর রহমানের ছেলে।
কলারোয়া থানার ওসি শেখ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গত ১১ জুলাই কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের ইলিশপুর গ্রামে ইট ভাটার সামনে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের একটি কালভার্টের নিচ থেকে ইজিবাইক চালক হাসান আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় একই দিন বিকালে নিহতের ছেলে বাবলুর রহমান কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, মামলা দায়ের করার পর থানা পুলিশের একটি টিম সড়কের বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ঝিকরগাছা উপজেলা থেকে হত্যাকারী ইব্রাহিম হোসেনকে ইজিবাইকের চাবিসহ গ্রেপ্তার ও ছিনতাই করা ইজিবাইক উদ্ধার করে। গত সোমবার ঘাতক ইব্রাহিমকে সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
ওসি আরো জানান, গ্রেপ্তার ইব্রাহিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে হত্যার দায় স্বীকার করে বলেছেন, যশোরের নাভারণ এলাকা থেকে ঘুমের ওষুধ কিনে কোমল পানিও স্পিড’র বোতলে মিশিয়ে চালক হাসানকে অজ্ঞান করে। পরে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পা বেঁধে মরদেহ কালভার্টের নিচের পানিতে ফেলে দেয়। হত্যার কারণ হিসেবে ঘাতক দাবি করেন, তিনি অনেক ঋণগ্রস্ত হয়ে গেছেন। ঋণ পরিশোধ করতে ইজিবাইক ছিনতাই করতে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।