বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫

৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোর সরকারি টেকনিকাল স্কুল এন্ড কলেজ

ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় পাস করাতে ঘুষ নেন দুই প্রশিক্ষক!

রানার প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:০৩, ১০ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৭:২১, ১০ জুলাই ২০২৫

ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় পাস করাতে ঘুষ নেন দুই প্রশিক্ষক!

ড্রাইভিং পরীক্ষায় পাস করিয়ে দিতে যশোর সরকারি টেকনিকাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শাহিনুর রহমান ও নাজমুল হোসেন নামে মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কোর্সের দুই ‘লিড ট্রেইনার’র বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন প্রশিক্ষণার্থীরা। গত ২ জুলাই বিআরটিআই’র অধীনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা হয়। ওই পরীক্ষায় পাস করিয়ে দিতে ৩৬ প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে ২৫০০ টাকা করে মোট ৯০ হাজার টাকা নেওয়া হয়।

যশোর সরকারি টেকনিকাল স্কুল এন্ড কলেজে সরকারের ‘এসআইসিআইপি’ প্রকল্পের মাধ্যমে মোটরড্রাইভিং উইথ বেসিক মেইনটেনেন্স নামে একটি প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালিত হয়। চার মাস মেয়াদী এই কোর্সে গাড়ি চালানো ও গাড়ির বেসিক মেইনটেনেন্স’র ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই কোর্সের প্রশীক্ষার্ণীদের যাতায়াত ভাতা দেওয়া হয় প্রকল্পের আওতায়। এ ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হলে সরকারি খরচে করে দেওয়া হয় লাইসেন্স। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, ভাতার টাকাও নয়ছয় করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ভাতার টাকা ঠিকমতো পান না তারা। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ওই টাকা তছরুপ করা হয়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত ২ জুলাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই পাস করিয়ে দেওয়ার নাম করে পরীক্ষার্থী প্রতি ২৫০০ টাকা নেওয়া শুরু হয়। ‘লিড প্রশিক্ষক’ শাহিনুর রহমান প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে টাকা ‘কালেকশন’ করেন। ওই টাকার ভাগ আরেক প্রশিক্ষক নাজমুল হোসেনসহ উচ্চ পর্যায়ের আরো কেউ কেউ পেয়েছেন।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রশিক্ষক শাহিনুর রহমান। তিনি দাবি করেছেন, পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার কথা বলে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। এদিকে, আরেক প্রশিক্ষক নাজমুল হোসেন বলেছেন, টাকা আমি নেইনি। বিআইরটিআই থেকে পাস করানোর জন্য ছাত্ররা নিজেরাই দিয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম মজুমদার বলেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ: