যশোরের শার্শা উপজেলায় সালিশ বৈঠকে ক্ষমা চাইতে বলা নিয়ে সৃষ্ট গোলযোগে প্রতিপক্ষের হামলায় জামায়াতে ইসলামী নেতাসহ তার পরিবারের দশজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর।
শনিবার (০৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের লাউতাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, জামায়াত নেতা জহুরুল ইসলাম (৫০), ইমরান (২৭), নুর মোহাম্মদ (৭৩), কদর আলী (৫০), হেলাল (২৮), সালমা (৩৪) ও রানু (২৫)। তারা সবাই এক পরিবারভুক্ত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ঘুনি (মাছ ধরার যন্ত্র) পাতাকে কেন্দ্র করে লাউতাড়া গ্রামের ইমরান ও ইউনুসের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে।
ইউনুস কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনা নিয়ে শনিবার রাতে স্থানীয় পর্যায়ে সালিশের আয়োজন করা হয় বিষয়টি মিমাংসার জন্য। ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি জহুরুল ইসলাম ওই সালিশে সভাপতিত্ব করেন।
তিনি ইউনুসের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ইমরানকে নির্দেশ দেন। কিন্তু, ইউনুস বিষয়টি মানতে নারাজ হন। তিনি আরও ‘কঠিন’ শাস্তি দাবি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার লোকজন ইমরান ও জহুরুল ইসলামের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালান।
হামলাকারীরা ওই দুজনকে কুপিয়ে জখম করেন। এসময় তাদের পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে তাদেরকে কোপায় হামলাকারীরা। এতে মোট দশজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শার্শা থানার অফিসার ইসচার্জ (ওসি) আব্দুল আলীম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


























