বৃহস্পতিবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোটরসাই‌কেল পার্ট‌সের ঘোষণায় অন্যপণ্য

ভার‌তের পেট্রা‌পো‌লে বাংলা‌দে‌শি ব্যবসায়ীর ১৫ কো‌টির টাকার পণ্য জব্দ

রানার প্র‌তি‌বেদক

প্রকাশিত: ১১:২৫, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১১:৩৬, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভার‌তের পেট্রা‌পো‌লে বাংলা‌দে‌শি ব্যবসায়ীর  ১৫ কো‌টির টাকার পণ্য জব্দ

ভারতীয় ওষুধ, জিলেট ব্লেড, ট্রিমার, শাড়ি, ফেব্রিক্স, ইমিটেশন জুয়েলারি, হাতঘড়ি, চাদর, তালা, থ্রি-পিস, জুতা, সেলুন সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্যকে মোটরসাইকেল পার্টস হিসেবে ঘোষণা দিয়ে পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানির চেষ্টা করছিলেন বেনাপোলের এক আলোচিত সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী। তবে, ১৫ কোটি টাকার পণ্যবাহী ওই পাঁচটি ট্রাক পেট্রাপোল থেকে জব্দ করেছে বিএসএফ ও ভারতীয় কাস্টমস।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারত সরকারের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও কাস্টমস পেট্রাপোলে যৌথ অভিযান  পরিচালনা করে। এ সময় পাঁচটি ট্রাকে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা পণ্যের ওই চালানগুলোর বৈধ কোনো নথিপত্র না পেয়ে জব্দ করা হয়েছে। তা আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, বেনাপোল কাস্টমস হাউস সূত্রগুলো জানায়, ভারতে জব্দকৃত পণ্যের মালিক বেনাপোলের বহুল আলোচিত আমদানিকারক হাসানুজ্জামান হাসান। আগেও দীর্ঘদিন ধরেই আমদানী-রপ্তানীর নামে শুল্ক ফাঁকির এমন অপকর্ম করে যাচ্ছে তার মালিকানাধীন মেসার্স জামান ট্রেডার্স এবং ভারতীয় রপ্তানিকারক মন্ডল গ্রুপ।  

ব্যবসায়ীদের এক‌টি সূত্র জানিয়েছে, মন্ডল গ্রুপের মূল মালিক কুতুব উদ্দীন মন্ডল। তার মেসার্স রুহানী এন্টারপ্রাইজ, সোহানী এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ ও তাহানি এন্টারপ্রাইজ নামে ৫টি লাইসেন্সের মধ্যে একটি বৈধ, বাকি চারটি ভূঁইফোড়। তারপরও এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ রপ্তানি হয়ে আসছে। পেট্রাপোলে ধরা পড়া চালানটি 

বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট ওমর এন্ড সন্স-এর লাইসেন্স ব্যবহার করা হচ্ছিলো। তবে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইউনুস মিয়া দাবি করেছেন, তার এক আত্মীয় জাহিদ হোসেন লাইসেন্সটি ব্যবহার করে থাকে। তবে আটক হওয়া চালানটি তাদের ছিলো না।

বেনাপোল বন্দরে আমদানী-রপ্তানীর আড়ালে শুল্ক ফাঁকির একটি বড় চক্র সক্রিয় আছে। যুগ যুগ ধরে ওই চক্র ওভার ইনভয়েস ছাড়াও জাল কাগজ তৈরি করে বিপুল অংকের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এসব অবৈধ কাজের সাথে কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত থাকার অভিযোগও দীর্ঘদিনের।

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের আইআরএম কর্মকর্তা মনিউর রহমান বলেন, ভারতে একটি বড় চালান আটক হয়েছে ব‌লে শু‌নে‌ছেন। তবে বিস্তারিত জা‌নেন না

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রাফেজা খাতুন বলেন, এখনও এ ব্যাপা‌রে বিস্তারিত  জান‌তে পা‌রি‌নি।
 কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার শরিফুল হাসানও বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন।
 

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ: