যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রায়মানিক সর্দার পাড়ায় নয় বছর বয়সি একটি শিশু ধর্ষণের শিকারের পর প্রায় তিন সপ্তাহ পেরোতে গেলেও অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়নি। ভুক্তভোগী শিশুটি এখনো অসুস্থ এবং নির্যাতনের সেই বীভৎসতার ভয়ভীতি এখনো কাটাতে পারেনি। ধর্ষণের ঘটনার পর ধর্ষণকারী মুদি দোকানদার সোহাগ হোসেনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনও হয়। কিন্তু অদৃশ্য এক শক্তির প্রভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে ধর্ষণকারী।
এমন পরিস্থিতি ওই শিশুটির পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও যশোর-৩ আসনে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশী খালিদ সাইফুল্লাহ জুয়েল। সম্প্রতি তিনি ভুক্তভোগী পরিবারটির খোঁজখবর নেন। আইনি সহায়তাসহ দ্রুত ও ন্যায় বিচার নিশ্চিতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
গত ৮ ডিসেম্বর শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ৯ ডিসেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, শিশুটি এলাকার মুদি দোকানদার সোহাগের দোকানে চকলেট কিনতে যায়। এ সময় সোহাগ কৌশলে শিশুটিকে দোকানের পাশের একটি গোডাউনে নিয়ে যায়। সেখানে মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ধর্ষণ। বিষয়টিয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত সোহাগ পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ১০ ডিসেম্বর শিশুটির ধর্ষণকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে। এদিন রায়মানিক গ্রামের কয়েকশ মানুষের ওই মিছিলে অংশ নেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে বক্তারা, ধর্ষণকারী মুদি দোকানদার সোহাগের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এনসিপি নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ জুয়েল বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার যেন কোনো ধরনের ভয়ভীতি, চাপ বা হুমকির শিকার না হয়; সেই বিষয়ে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
কোতোয়ালি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি কাজী বাবুল জানান, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্ত সোহাগকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।


























