
আবাদি ফসলের মাঠে গড়ে উঠেছে সিরামিক কারখানা। আর সেই কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া ও বর্জ্যে নষ্ট হচ্ছে আবাদী জমির ফসল।মারা গেছে রাস্তার পাশের শতশত গাছ। কাগজে কলমে নিজস্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকলেও বাস্তবে নেই। ফলে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। ক্ষতি হচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল। তবে কৃষিবিভাগ ও পরিবেশ অধিপ্তর বলছে, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সাড়াতলা মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে সিরামিক কারখানাটি। সেখান থেকে নির্গত ধোঁয়া ও বর্জ্যের ফলে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের জমির ফসল।মারা গেছে ছোট বড় গাছ। কারখানার পাশেই জমিতে চাষাবাদ করেন কৃষক শফিকুল ইসলাম। জমিতে ফলানো ফসলই তার সংসার চালানোর একমাত্র ভরসা। কিন্তু সিরামিক কারখানার ধোঁয়া ও বিষাক্ত বর্জ্যে নষ্ট হয়ে গেছে ফসল । গত তিন বছর ধরে ফসলহানির কবলে পড়ে এখন শফিকুলের চোখে মুখে হতাশার ছাপ। তার মতো একই অবস্থা অন্যান্য কৃষকদের জমির ফসলের।
মহাসড়কের কোল ঘেঁসে গড়ে তোলা কারখানায় নিজস্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকলেও তা কেবল কাগজে কলমে। কার্যত কারখানার ময়লা পানি ও টাইলসের কাঁচামাল মিশ্রিত বর্জ্য বের হয় মহাসড়কের পাশের খাল দিয়ে। খালেই জমে থাকে সাদা রঙের কাঁদা পানি মিশ্রিত রাসায়নিক বর্জ্য ও ধোঁয়ার প্রভাবে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ । সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে কয়েক’শ হেক্টর জমির ফসল ও মারা গেছে মহাসড়কের পাশের শতশত গাছ। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরকে দ্রুতব্যবস্থা গ্রহনের দাবি স্থানীয়দের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঝিনাইদহের উপ-পরিচালক ষষ্ঠী চন্দ্র রায় বলেন, কারখানার ধোঁয়া ও বিষাক্ত বর্জ্যে পরিবেশ ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতির প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াহবে। একই রকমের আশ্বাসের বাণী শুনিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ঝিনাইদহের সহকারী পরিচালক মুন্তাছির রহমান। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।
সিরামিক কারখানাটি গড়ে ওঠে ২০২০ সালে। এরপর কারখানার নির্গত বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্যে সয়লাব হয়ে গেছে মহাসড়কের পাশের প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি ।