বৃহস্পতিবার ২১ আগস্ট ২০২৫

৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিনিয়োগ বাড়ার আশায় ধাক্কা

স্বল্প মেয়াদী বিদেশি ঋণ কমছে

রানার প্রতিবেদক, ঢাকা অফিস

প্রকাশিত: ১৯:০১, ১২ আগস্ট ২০২৫

স্বল্প মেয়াদী বিদেশি ঋণ কমছে

জুন মাস শেষে বাংলাদেশের স্বল্প মেয়াদী বিদেশি ঋণের স্থিতি প্রায় এক দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার কমেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন শেষে স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক শূন্য ছয় বিলিয়ন ডলার, যেখানে ২০২৪ সালের জুনে এটি ছিল ১১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার।

স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণ বলতে বোঝায় বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া এমন অর্থায়ন, যার পরিশোধের মেয়াদ এক বছরের কম। এটি সাধারণত আমদানি পণ্য, সেবা ক্রয় এবং ব্যবসায়িক স্বল্পমেয়াদি আর্থিক চাহিদা মেটাতে বেসরকারি কোম্পানিগুলো নেয়।

চলতি বছর জুন মাসে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা নতুন করে স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণ নিয়েছেন এক দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু সুদ ও মূল টাকা পরিশোধ করেছেন এক দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার, যার ফলে ঋণের স্থিতি কমেছে। মে মাসেও একই রকম পরিস্থিতি ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘দেশে আর্থিক ক্ষেত্রে কিছুটা স্থিতিশীলতা আসলেও রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকায় বিনিয়োগ বাড়ার আশা রাখা বাস্তবসম্মত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ বিনিয়োগে ঝাঁপিয়ে পড়বে, এমন ধারণা কাল্পনিক।’

বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের প্রবাহ ধীরে ধীরে কমছে। চলতি বছরের শুরুতে, জানুয়ারিতে চার বছর পর প্রথমবার স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণের স্থিতি ১০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গিয়ে ৯ দশমিক আট বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। কোভিড মহামারীর সময় ২০২০ সালের ডিসেম্বরেও এ ঋণের পরিমাণ ৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল।

অর্থনীতির ধীরগতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলায় বিদেশি ঋণের এই হ্রাস বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে চাপ সৃষ্টি করছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
 

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ: