শনিবার ০১ নভেম্বর ২০২৫

১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে আবারও এক–এগারো ফিরে আসার মতো পরিবেশ তৈরি হতে পারে জানিয়ে সতর্ক করলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ 

রানার ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৫০, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৭:৫০, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

দেশে আবারও এক–এগারো ফিরে আসার মতো পরিবেশ তৈরি হতে পারে জানিয়ে সতর্ক করলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ 

দেশে আবারও এক–এগারো ফিরে আসার মতো পরিবেশ তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে নাগরিক কোয়ালিশন, ব্রেইন, ভয়েস রিফর্ম, ইনোভিশন, ফিনটেক সোসাইটি আয়োজিত ইকোনমিক রিফর্ম সামিটের দ্বিতীয় দিন তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, ‘এক–এগারো আবার ফিরে আসার মতো পরিবেশ তৈরি হতে পারে। রাজনৈতিক সংঘাত হবে—এমন এক জায়গায় আমরা দেশকে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা সংলাপ বা আলোচনার দিকে যাচ্ছি না।’

২০০৬ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক বিরোধের মুখে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন। এর মধ্যেই ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।

এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের কয়েকজন নেতার মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এতে ইয়াজউদ্দিন আহমেদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে তৎকালীন বিরোধী দলগুলোর মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়। মহাজোট নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে লাগাতার হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি শুরু করে।

এমন সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয় এবং ইয়াজউদ্দিন আহমেদ প্রধান উপদেষ্টা পদ থেকে সরে দাঁড়ান। পরের দিন সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন। দেশের রাজনীতিতে এই ঘটনাই ‘এক–এগারো’ নামে পরিচিত।

বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি ‘এক্সিস্ট করে না’ জানিয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘নতুন বন্দোবস্ত বলতে আমরা চেয়েছিলাম শুধু প্রতিষ্ঠানের নাম বদল বা পদ–পদবির রদবদল নয়, বরং সিস্টেমের বদল।’

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক ফোর্স বড় কোনো শক্তি না। অনেকে মনে করে আওয়ামী লীগ অনেক বড় শক্তি। না, আওয়ামী লীগ বড় শক্তি নয়। তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা টিকেছিল সিভিল ও মিলিটারি ব্যুরোক্রেসি এবং করপোরেশনের আনহোলি নেক্সাসের জোরে।’

মাহফুজ আলম বলেন, ‘মানুষ বিনিয়োগ করছে না, কারণ মানুষের আস্থা নেই। নির্বাচনের পরে বিনিয়োগ করবে বলে মানুষ অপেক্ষায় আছে। এর মানে এই নয় যে কোনো সংকটের কারণে বিনিয়োগ হচ্ছে না।’

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ: