
নাতনিকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় বাগেরহাটের চিতলমারীতে আলেয়া বেগম (৮০) নামে এক নারীকে মাথা থেঁতলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার দুপুরে উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ বাজারের পাশের উমাজুড়ি পশ্চিমপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনার পরপই পুলিশ প্রধান সন্দেহভাজন কাওছার বাবনা (২৮) ও আনসার বাবনা (২২) নামের দুই ভাইকে আটক করেছে।
নিহত আলেয়া বেগম উমাজুড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত সুলতান হাওলাদারের স্ত্রী। তাঁকে ইট ও মসলা বাটার পুতা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয় বলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।
আলেয়া বেগমের ছেলে পেশায় ভ্যানচালক। তাঁর দুই ছেলে ও চার মেয়ে। তিনি জানিয়েছেন, একই এলাকার আসমত বাবনার ছেলে কাওছার বাবনা প্রায়ই মেয়েদের নানাভাবে হয়রানি করত। বুধবার সকালে তৃতীয় শ্রেণিপড়ুয়া তাঁর মেয়েটি (১১) টিউবওয়েলে পানি আনতে যায়। এ সময় কাওছার তাকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। শিশুটি তার মাকে বিষয়টি জানায়। তার কাছ থেকে বিষয়টি শোনেন আলেয়া বেগম। তিনি কাওছারের কাছে বিষয়টির কৈফিয়ত চান।
প্রতিবেশীরা জানান, কৈফিয়ত চাওয়ায় আলেয়া বেগমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে কাওছার। সে তার ভাই আনসারকে নিয়ে বাড়ির পাশেই আলেয়ার ওপর হামলা চালায়। তারা ইট ও পুতা দিয়ে বেলা ১১টার দিকে ওই বৃদ্ধার মাথায় আঘাত করে। এ সময় ঘটনাস্থলেই আলেয়া মারা যান।
ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী কাওছার ও আনসারকে আটক করে পিটুনি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর ভাষ্য, এ দুই ভাই মাদক সেবনসহ নানা অপকর্মে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে নারীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে।
চিতলমারী থানার ওসি এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, কাওছার বাবনা ও আনসার বাবনা নামের দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে। আলেয়া বেগমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্বজনরা অভিযোগ করলে মামলা নথিভুক্ত হবে।