বৃহস্পতিবার ২১ আগস্ট ২০২৫

৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তদন্তে পিবিআই

খুলনায় সাবেক মেয়র-এমপিসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা 

সংবাদদাতা, খুলনা

প্রকাশিত: ১৪:২২, ১৯ আগস্ট ২০২৫

খুলনায় সাবেক মেয়র-এমপিসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা 

খুলনায় ২০২৪ সালের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন চাচাতো ভাইসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫৫ নেতার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ১২ আগস্ট এ মামলা দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি। ১৭ আগস্ট আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের আদেশ দেন।

মামলার আবেদনে উল্লেখিত আসামিরা হলেন- কেসিসির সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, সাবেক সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা শেখ সোহেল, সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণচন্দ্র চন্দ, সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান মোড়ল, রইজ হাওলাদার, অ্যাড. সাইফুল ইসলাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল সুজন, সাবেক কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হক, খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) খুলনার ইকবাল বাহার চৌধুরী, সাবেক উপপুলিশ কমিশনার সোনালী সেন, সাবেক এডিসি গোপিনাথ কানজিলাল, সাবেক ডিবি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান, জহিরুল ইসলাম, আমজাদ, আবুল কালাম আজাদ, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, ঢামেকের ছাত্রলীগের ক্যাডার ডা. সিয়াম, ছাত্রলীগ ক্যাডার ও পরিচালক ডিএমসি স্কলারস ডা. মঈনুল, শেখ ওমর আলী, আবজাল শিকারি, মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, রতন সরদার, সোহেল হাসান রুমি, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ খুলনা মহানগর সভাপতি আসাদুজ্জামান রাসেল, কেসিসির সাবেক ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহাদাত হোসেন মিনা, ইসমাইল, শিপার, এবিএম সাত্তার, মো. মিজান শেখ, শফিকুল ইসলাম, রতন মণ্ডল, মো. জসিম শিকদার, মো. সাবুদ্দিন, মোহাম্মদ শিকদার, নাসির, মো. খায়রুল বাসার, মো. নাজির হোসেন, মো. কামাল হোসেন, মো. শরিফুল ইসলাম, শাহাজাদা খান, নজরুল ইসলাম, শরীফ আতিয়ার রহমান, রাজ্জাক, সুজা, সৈয়দ মুরসালিন প্রিন্স এবং শেখ শামীম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি সাতরাস্তা মোড় পৌঁছালে ১-১০ নম্বর আসামির নির্দেশে অন্যান্যরা ছাত্রদের লক্ষ্য করে শটগান, পিস্তল বোমা এবং ইট নিয়ে হামলা করে। এতে অন্তত ১৫-২০ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গরীব নেওয়াজ ক্লিনিকে হামলার সময় ৮ ও ৩৬ নম্বর আসামির বিরুদ্ধে আহতদের পুলিশভ্যানে তুলে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

বাদী সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, ‘৩১ জুলাই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে গেলে ছাত্রলীগ (নিষিদ্ধ) ও আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) আমাদের ওপর বর্বর হামলা চালায়। আমার বহু বন্ধু রক্তাক্ত হয়। এক বছর পার হলেও কেউ বিচারের আওতায় আসেনি। বাধ্য হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আমি ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন বলেন, ‘হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য এবং অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’ 
 

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ: