
পাকিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) শনিবার (১৬ আগস্ট) জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ৩০৭ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরো ২৩ জন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে, বুনের জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ১৮৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এরপর শাংলা জেলায় ৩৬ জন, বাজাউরে ২১ জন, মানসেহরা জেলায় ২৩ জন, সোয়াত জেলায় ২২ জন, বটগ্রাম জেলায় ১৫ জন, লোয়ার দির জেলায় পাঁচজন ও অ্যাবোটাবাদ জেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২৭৯ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী এবং ১৩ জন শিশু রয়েছে। এছাড়াও অবকাঠামোগত ক্ষতি রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৭৪টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জেলায় স্কুল ও সেতু পানিতে ভেসে গেছে।
উদ্ধারকর্মীদের একজন মুখপাত্র জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচে বেশ কয়েকজন আটকা পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রাতভর অভিযান অব্যাহত ছিল এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ধ্বংসস্তূপ অপসারণ শুরু হয়েছে।
বুনের, সোয়াত ও বাজাউরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও ফ্রন্টিয়ার কর্পসের বন্যা ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। সেনাবাহিনীর দলগুলো বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। হেলিকপ্টারে করে রেশন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহসহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে।
এই প্রচেষ্টায় যোগদানের জন্য অতিরিক্ত সেনা বাহিনী পাঠানো হয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত সব মানুষকে নিরাপদে উদ্ধার এবং স্থানান্তর না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন