তিন পাশে ইছামতি নদী। একপাশে ভারত। এরকম ভূপ্রকৃতির কারণে শতবছরের পুরনো গ্রাম শ্রীনাথপুর হালদারপাড়াকে দূর থেকে মনে হয় যেন বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপ। তিনপাশে নদী বেষ্টিত এই গ্রাম থেকে বাইরে বেরোনার অন্যতম প্রধান মাধ্যম বাঁশের সাঁকো। ফলে অসুস্থ রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে গমন নিয়ে দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। যোগাযোগ ব্যবস্থার এরকম দৈন্যদশার কারণে এই গ্রামের মেয়েদের বিয়ে হওয়া নিয়েও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সাঁকো পাড় হয়ে ঝুঁকি শ্বশুরবাড়ি যেতে হবে এমন ভয়ে অনেক গ্রামটিতে বিয়ে করতে আগ্রহী হচ্ছে না।
স্থানীয়দের ভাষ্য, হালদার সম্প্রদায়ের মানুষের এই গ্রামটি অনুন্নত যোগযোগ ব্যবস্থার কারণে শিক্ষা-দীক্ষা, কৃষি, ব্যবসায়-বাণিজ্য সব দিকে পিছিয়ে আছে। বাইরের এলাকারা সাথে যোগাযোগ রক্ষা ও পারাপারের একমাত্র ভরসা বাশেঁর সাকো। ঢলে নদী পারাপারই যেন গলার তাদের গলার কাঁটা। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিতে পড়তে হয় বিড়ম্বনায় এই বাঁশের সাঁকোর কারণে। অন্য সবকিছু ঠিক থাকলেও সেতু না থাকায় ভেঙে যায় বিয়ে। তবে দ্রুতই সেতু নির্মাণের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।
মৌসুমি ফসলসহ নানা ধরনের সবজি চাষ ও মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন গ্রামটির বাসিন্দারা। শতবছরের পুরাতন এ গ্রামে একসময় হালদার সম্প্রদায়ের কয়েকশত পরিবারের বসবাস ছিল। উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া না লাগায় ধীরে ধীরে কমেছে বসতি। সেতু না থাকায় গ্রামবাসীর বঞ্চিত হচ্ছেন সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে। ভরা বর্ষায় দূভোর্গ পৌছায় আরো চরমে। সেতু না থাকায় ভেঙে যাচ্ছে বিয়ে।
শ্রীনাথপুর গ্রামে ২’শ পরিবারের বসবাস থাকলেও বর্তমানে ৩৫ ঘর মানুষের বসবাস রয়েছে। তাদের উপার্জনের উৎস মাছ ধরা ও চাষাবাদ।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার দ্রুতই সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের আশ্বাস দিয়েছেন।