
রাতে ঘুমোনোর আগে আরশানকে গল্পে পড়ে শোনান বাবা ঐশিক রহমান। গল্পে থাকা নীতিকথা ও অচেনা-অজানা শব্দের অর্থ ও মানেগুলো ছেলেকে বুঝিয়ে দেন বাবা। অবসরে-ছুটির দিনগুলোতে বাবাকে ‘টাট্টু-ঘোড়া’ বানিয়ে পিঠে চেপে বসে আরশান ও তার ছোট বোন। এসব ছাড়াও দিনযাপনের আরো নানান দৃশচিত্র ফুটে উঠেছে তিন মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ফিল্মটিতে।
শিশুদের শৈশব জীবনের এরকম বহুমাত্রিক দিকের গল্প ও চিত্রনাট্য নিয়ে নির্মিত ১০টি ফিল্ম নিয়ে যশোরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিটিএইচ ফিল্ম ফেস্ট। চলচিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ফিল্মগুলোয় হারিয়ে যেতে বসা শৈশবের বিভিন্ন দিকগুলো বাবা-মা ও তাদের সন্তানদের অভিনয়ের ভেতর দিয়ে প্রতিবিম্বিত হয়। আর এই ফিল্মগুলো নির্মিতও হয়েছে বাবা-মা ও সন্তানদের যৌথ প্রচেষ্টায়। এমনকি ভিডিও শ্যুট থেকে শুরু করে এডিটিং সবই সম্পন্ন হয়েছে পারিবারিক পরিমন্ডলেই।
‘বিটিএইচ বাচ্চাগুলো অন্তত ছোটোবেলাটা পায়’ থিমে ফিল্ম ফেস্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার রাতে শহরের সার্কিট হাউস পাড়ায় প্রাচ্যসংঘ অডিটোরিয়ামে উৎসবটির আয়োজন করা হয়। লালদিঘির পাড়ে শিশুদের স্কুল ব্রাদার টিটোস হোম (বিটিএইচ) উৎসবটির আয়োজন করে। উৎসব শেষে এদিন বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উৎসবে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন বিটিএইচ নার্সারি শ্রেণির আরশান ফাইদ সিদ্দিকী এর বাবা-মা। দ্বিতীয় বিটিএইচ প্রথম ও কেজি শ্রেণির জুওয়াইরিয়া জান্নাত আয়জা এবং আহনাফ আরিজ ওমর এর বাবা-মা। তৃতীয় হয়েছেন বিটিএইচ কেজি শ্রেণির তাফসীর তাহির এর বাবা-মা।
উৎসব অনুষ্ঠানের প্রধান ছিলেন লেখক ও গবেষক বেনজিন খান। বিচারক প্যানেলে ছিলেন, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সজল ও সালমান হাসান রাজিব এবং খায়রুজ্জামান সুজন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিটিএইচ শিক্ষক ফাহমিদা ইসলাম এবং লামিয়া সাজুনা।