
ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় ক্রেতাদের পক্ষে কিনে খাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বাজারে সরবরাহ কম এবং সিন্ডিকেটের প্রভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের।
প্রতিবছর জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের মৌসুম ধরা হলেও এবার বাজারগুলোতে চাহিদার তুলনায় ইলিশের সরবরাহ অনেক কম। শুক্রবার যশোর শহরের বড়বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি ওজনের ইলিশ বাজারে প্রায় নেই বললেই চলে। তুলনামূলক ছোট আকারের ইলিশ বেশি দেখা যাচ্ছে।
বাজারে ৫-৬টি ছোট মিলে এক কেজি হয় এমন ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬২০ টাকায়। ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি ১,৩০০ থেকে ১,৪০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ইলিশ কেজি ১,৭০০ থেকে ১,৮০০ টাকা এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ২,৩০০ থেকে ২,৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বড়বাজারের ক্রেতা মেহেদী হাসান বলেন, ‘ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ, সবার চাহিদা থাকে। কিন্তু সরবরাহ কম এবং দাম বেশি হওয়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে। পাচার বন্ধে তদারকি বাড়ালে সরবরাহ বাড়বে, দামও কমবে।’
চাকরিজীবী কবিতা রানী মণ্ডল বলেন, ‘গত বছর যে মাছ ৩৫০-৪০০ টাকায় পাওয়া যেত, এবছর তা ৬০০-৭০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ কিভাবে কিনবে?’
ক্রেতা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘এবছর প্রথম মাছ কিনতে এসেছিলাম, দাম শুনে আর কিনলাম না।’
বড়বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি কৃষ্ণপদ বিশ্বাস বলেন, ‘আগের মতো ঢালাওভাবে মাছ আসছে না। বাজারে সরবরাহ কম, ফলে দামও বেশি।’