বৃহস্পতিবার ২১ আগস্ট ২০২৫

৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুনঃনিরীক্ষায় ৬৭০ এইসএস‌সি পরীক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন, জিপিএ-৫ প্রা‌প্তি ২৭০

রানার প্র‌তি‌বেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৯, ১০ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১১:৪০, ১১ আগস্ট ২০২৫

পুনঃনিরীক্ষায় ৬৭০ এইসএস‌সি পরীক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন, জিপিএ-৫ প্রা‌প্তি ২৭০

যশোর শিক্ষা বোর্ডে এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষায় ৬৭০ শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হ‌য়ে‌ছে। জিপিএ-৫ পেয়ে‌ছে ২৭১ পরীক্ষার্থী। রোববার (১০ আগস্ট) পুনঃনিরীক্ষণের এই ফল প্রকাশ করা করা।

ফলাফলে দেখা গে‌ছে, নতুন করে ৬৭০ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭১ জন পরীক্ষার্থী। এ ছাড়া ফেল থেকে পাস করেছে ১৮৭ জন। 
গত ১০ জুলাই সারা একযোগে শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। প্রকাশিত ফলাফলে জানা যায়, পরীক্ষায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করে ১ লাখ ২ হাজার ৩১৯। পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদনের সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয় সাতদিন। বোর্ডের প্রকাশিত মূল ফলাফলে যেসব শিক্ষার্থী কাঙ্খিত ফলাফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করে। ২৪টি বিষয়ে পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন পড়েছিল ৪৯ হাজার ৭৭৯টি।

এর মধ্যে ইংরেজি প্রথম পত্রে ৮ হাজার ৬৪, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ৮ হাজার ৬৪, বাংলা প্রথম পত্রে ২ হাজার ১৭, বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ২ হাজার ১৭, গণিতে ৬ হাজার ৮০৩, ভুগোলে ১ হাজার ১১৭, ইসলাম ধর্মে ১ হাজার ৭৪০, হিন্দু ধর্মে ৩০৪,  উচ্চতর গণিতে ১ হাজার ৫১৫, বিজ্ঞানে ২ হাজার ১১৯, কৃষি শিক্ষায় ১ হাজার ৩৬৮, পদার্থ বিজ্ঞানে ২ হাজার ৭০৮, রসায়নে ৩ হাজার ২৭২, জীব বিজ্ঞানে ২ হাজার ১৭৬, পৌরনীতিতে ২৯৯, অর্থনীতিতে ৫৯৯, ব্যবসায় উদ্যোগে ১৪৩,  হিসাব বিজ্ঞানে ৫০৫,  চারু ও কারুকলায় ২, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে ২ হাজার ৫১৭, গাহর্স্থ্য বিজ্ঞানে ১২১, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ে ৩১০, ইতিহাসে ১ হাজার ২৬ ও আইসিটিতে ৯৭৩টি। তবে বেশি আবেদন পড়ে ইংরেজিতে ১৬ হাজার ১২৮। 

যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন বলেন, যশোর শিক্ষাবোর্ডে পুনঃনিরীক্ষণে আবেদন পড়েছে ৪৯ হাজার ৭৭৯টি। মোট আবেদনের মধ্যে ৬৭০ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছে ১৮৭ জন। নতুন করে পাস করা ১৮৭ জনের  মধ্যে ২৩ জন এ গ্রেড, ৩৩ জন এ মাইনাস, ২৩ জন বি গ্রেড, ৩৪ জন সি গ্রেড ও ৭৪ ডি গ্রেড পেয়েছে।

নতুন করে ২৭১ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে এ গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৫ জন। এ মাইনাস থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। বি গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। সি গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া এ মাইনাস থেকে এ গ্রেড পেয়েছে ১৩৩ জন। বি গ্রেড থেকে এ মাইনাস পেয়েছে ৫৫ জন। বি থেকে এ গ্রেড পেয়েছে ৩ জন। সি থেকে বি গ্রেড পেয়েছে ১৩ জন। সি থেকে এ মাইনাস পেয়েছে ৪ জন। ডি থেকে সি গ্রেড পেয়েছে ৪ জন।

তখন পাসের হার ছিল ৭৩.৬৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পায় ১৫ হাজার ৪১০ জন। পুনঃনিরীক্ষণে এখন তা কিছু বেড়েছে।
 

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ: