
যশোরের শার্শা উপজেলায় মফিজুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন প্রতিবেশী ভাবি। ধর্ষণের চেষ্টা করলে সম্মান রক্ষার্থে ভাবি ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রতিবেশী দেবরের বিশেষঅঙ্গ কেটে দেন। গত মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, ভুক্তভোগী নারীর থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগের পর ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
ঘটনার ৬ দিন পর মফিজুলকে রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে শার্শা থানার পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ আগস্ট রাত ১টার দিকে বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে প্রতিবেশী ভাবীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন দেবর মফিজুল ইসলাম। এ সময় প্রতিরোধ করতে গিয়ে সফুরা খাতুন নামে ওই নারী তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মফিজুলের বিশেষঅঙ্গে আঘাত করেন। আহত মফিজুল পরে পালিয়ে চন্দনপুরের এক গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে যান। সেখানে আটটি সেলাই দিতে হয় বলে জানা গেছে।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই মফিজুল ইসলাম ও ভাবির মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক চলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। তবে এসবের পরও আবার এমন ঘটনা ঘটায় গ্রামবাসী বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ওসি কে এম রবিউল ইসলাম জানান, সফুরা খাতুন থানায় লিখিত অভিযোগ করায় সোমবার রাতেই মফিজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।