
যশোরে ‘৩৬ জুলাই’র নারী যোদ্ধাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের মর্ম ফ্যাসিবাদ নির্মূলের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গঠন। এ জন্য বিদ্যমান ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রকাঠামো বদল করতে হবে। আর তার জন্য আমাদের একটি নতুন কনস্টিটিউশন বা গঠনতন্ত্র লাগবে। যার আলোকে আমরা গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারবো।
বক্তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বীজ ৭২’র সংবিধানে রোপিত হয়েছিল। তার শাসন আমলে সেটি চূড়ান্ত রূপ নেয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রকাঠামোর বদল না হওয়ায় এখনো ফ্যাসিবাদ নির্মূল হয়নি। আর তাই ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার বদল না হওয়া পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। রাজপথ ছেড়ে যাওয়া যাবে না।
শুক্রবার বিকেলে যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরির ইস্যু বিভাগের দ্বিতীয় তলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘জুলাই নারী ঐক্য’। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে নারী যোদ্ধারা তাদের অভিজ্ঞতা ও সংগ্রামের স্মৃতি তুলে ধরেন। এছাড়া কবিতা পাঠ, সঙ্গীত পরিবেশনা ও আলোচনা পর্ব ছিল এই আয়োজনে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট কাজী মুনিরুল হুদা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব মুর্শিদ, সাবেক ছাত্রনেতা মেহদি উর রহমান টুটুল, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা সংগঠক মুনির আজাদ এবং গণমাধ্যমকর্মী ও অ্যাক্টিভিস্ট সালমান হাসান রাজিব। সভাপতিত্ব করেন জুলাই নারীযোদ্ধা খন্দকার রুবাইয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি ও অণুগল্পকার মামুন আজাদ।
জুলাই নারীযোদ্ধাদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন, ছাদেকা শাহানি উর্মি, সালেহা সুলতানা ঊষা, সায়মা জামান জেবা, ফারহানা হোসেন অরণ্য, খাদিজা আক্তার, কানিজ ফাতেমা, জয়া জাকির, আখিঁ খাতুন, আসমা ইসলাম প্রমুখ।