শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫

১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরের মণিরামপুরে ‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ আটক হন তারা

অপকর্মে জড়িত চার যুককের পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি

রানার প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:২১, ২ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৮:৫১, ২ আগস্ট ২০২৫

অপকর্মে জড়িত চার যুককের পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি

যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক চার যুবককে যুবদলের কর্মী পরিচয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা যুবদল। তবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, চারজনই যুবদলের সক্রিয় কর্মী। তাদের অপকর্মের দায় দল নেবে না।’ আটক চার যুবককে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা বলেন, সম্প্রতি মণিরামপুরে কিছু যুবক আটক হয়েছেন। তাদেরকে কেউ কেউ যুবদল কর্মী হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা করছেন। প্রকৃতপক্ষে তারা যুবদলের কেউ না। তাদের কেনো কর্মকাণ্ডের সাথে যুবদলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারা দলীয় কর্মী নন। তাই তাদেরকে যুবদলের কমী বানানোর অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে যারা এই ধরণের অসত্য তথ্য গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছেন, তাদের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এদিকে, শুক্রবার রাতে জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মণিরামপুর পৌরশহরের গরুর হাটখোলা মোড়ে রজনী নিবাস হোটেলের চতুর্থতলার ৪০৮ নাম্বার কক্ষের ভেতরে যশোর-চুকনগরগামী মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি করার পরামর্শ ও প্রস্তুতি চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় কক্ষের ভেতর থেকে চারজনকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় একটি খেলনা পিস্তল ও একটি সুইচ গিয়ার চাকু জব্দ করা হয়। 

আটকরা হলেন, মনিরামপুর পৌরসভার গাংড়া এলাকার আলম খান, দূর্গাপুরের টুটুল, উপজেলার কদমবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও খেদাপাড়ার আবু সিনহা। পরে একটি মামলা দায়ের করে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।

মনিরামপুর থানার ওসি বাবলুর রহমান খান জানান, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চারজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অভিযানের সময় একজন কৌশলে পালিয়ে যায়। মামলায় ৫জনকে আসামি করা হয়েছে।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ: