
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন চীনের রাজধানী বেইজিং পৌঁছেছেন। আগামীকাল ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘ভিক্টরি ডে’ সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে তিনি বিশেষ সাঁজোয়া ট্রেনে চীন সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। এই তথ্য জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা।
কুচকাওয়াজে কিম জং উন ছাড়াও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং অন্যান্য বিশ্বনেতারা উপস্থিত থাকবেন। এটি কিমের প্রথম কোনো বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক সভায় অংশগ্রহণ।
কিমের সাঁজোয়া ট্রেনটি অত্যন্ত বিলাসবহুল এবং উচ্চ নিরাপত্তা-সংবলিত। ট্রেনটিতে রয়েছে বিলাসবহুল খাবার পরিবেশনকারী রেস্তোরাঁ, কনফারেন্স রুম, অডিয়েন্স চেম্বার এবং শয়নকক্ষ। নিরাপত্তার কারণে ট্রেনটি ধীরে চলে, যার ফলে যাত্রায় সময় লাগে প্রায় ২৪ ঘণ্টা।
এটি ১৯৫৯ সালের পর প্রথমবারের মতো যে, কোনো উত্তর কোরীয় নেতা চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছেন। কিম ছাড়াও মিয়ানমার, ইরান, কিউবাসহ ২৬টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এই কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছেন।
২০১৫ সালে কিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চোয়ে রিয়ং হে পিয়ংইয়ং থেকে কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিলেন। বহির্বিশ্বে কিমের সফর সাধারণত বিরল এবং কেবলমাত্র বিশেষ আন্তর্জাতিক সমঝোতার সময়েই তিনি বিদেশ সফরে যান।
২০১৯ সালে চীন সফরের সময়ও কিম সাঁজোয়া ট্রেনে গিয়েছিলেন, যা ছিল চীন-উত্তর কোরিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তির উপলক্ষে। কিমের দাদা কিম ইল সুং ভিয়েতনাম ও পূর্ব ইউরোপ সফরে ট্রেন ব্যবহার করতেন, এবং কিমের বাবা কিম জং ইলও ট্রেনেই ভ্রমণ করতেন।
এবারের কুচকাওয়াজে চীনের তিয়ানআনমেন স্কয়ারে হাজার হাজার চীনা সেনা মার্চ করবে। ৭০ মিনিটের কুচকাওয়াজে চীনের সর্বাধুনিক অস্ত্র, ড্রোন-বিরোধী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ট্যাঙ্ক এবং শত শত যুদ্ধবিমান প্রদর্শিত হবে। এটি চীনের নতুন সেনা কাঠামোর প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রদর্শনী।
সূত্র : বিবিসি।