
নাইজেরিয়ার উত্তর-মধ্যাঞ্চলের নাইজার স্টেটে এক ভয়াবহ নৌকাডুবিতে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নৌকাটিতে ১০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এখনো অনেক নিখোঁজ রয়েছেন এবং উদ্ধার অভিযান চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২ সেপেম্বর সকালে।
নৌকাটি তুংগান সুলে থেকে দুগ্গা গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। পথে ডুবে থাকা গাছের গুঁড়িতে ধাক্কা লেগে নৌকাটি উল্টে যায়। নাইজারের সরকারি কর্মকর্তা বাবা আরা রয়টার্সকে বলেন, ‘এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। ১০ জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
দুর্ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে। শাগুমি জেলার প্রধান সা’আদু ইনুয়া মুহাম্মদ বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছিলাম। নৌকাটিতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ ছিল। আমরা ৩১টি মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছি এবং নৌকাটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ২ সেপ্টেম্বর চারজনকে ইসলামী রীতি অনুযায়ী দাফন করা হয়েছে এবং মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। নাইজার স্টেট ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দল ও স্থানীয় ডুবুরিরা এখনো অভিযান চালাচ্ছেন।
সংস্থাটি বলেছে, এ পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। ৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ২ জন এখনো নিখোঁজ। তারা আরো জানায়, নৌকাটিতে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল এবং গাছের গুঁড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নাইজেরিয়ায় এমন নৌদুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে, বিশেষ করে বর্ষাকালে। এর পেছনে কয়েকটি বড় কারণ হলো, নিরাপত্তা বিধি উপেক্ষা, নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বহন এবং খারাপ অবস্থার নৌযান ব্যবহার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব দুর্ঘটনা রোধে কঠোর নিরাপত্তা নজরদারি এবং সচেতনতামূলক প্রচার চালানো জরুরি। দেশটির সরকার এখনো পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ের কোনো বিবৃতি দেয়নি।
সূত্র : রয়টার্স