
যুগাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ আবির্ভাব তিথিতে ‘কেশবপুর সার্বজনীন জন্মাষ্টমী উদ্যাপন কমিটি’ আয়োজিত অনুষ্ঠানটি- সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। শনিবার সকালে কেশবপুর সার্বজনীন শ্রীগঞ্জ কালিতলা মন্দির চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথীতে আজকের অনুষ্ঠানে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনকারী বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও ছাত্র প্রতিনিধিদের মেলবন্ধন থেকে দুষ্টের দমনের জন্য অনেক বড় শক্তি সৃষ্টি হলো। এ সময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিয়ে বলেন, আগামীতে কেশবপুরে কোন স্বার্থান্বেষী মহল শান্তি বিনষ্ট করতে পারবে না।
কেশবপুর সার্বজনীন জন্মাষ্টমী উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক কৃষ্ণ গোপাল মুখার্জির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেশবপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মোক্তার আলী, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ ও ঢাবিয়ান কেশবপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান হোসেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন, সহকারী অধ্যাপক কানাইলাল ভট্টাচার্য্য। বক্তব্য রাখেন, কেশবপুর পৌর জামায়াতের আমির প্রভাষক জাকির হোসেন, জামায়াত নেতা অধ্যাপক তাজাম্মুল ইসলাম দিপু, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সম্রাট হোসেন, মিরাজ বিশ্বাস প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সার্বজনীন জন্মাষ্টমী উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব মলয় বসু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, সার্বজনীন জন্মাষ্টমী উদ্যাপন কমিটির সমন্বয়ক উৎপল দে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শ্রীকৃষ্ণের ছবি সম্বলিত প্যাকার্ড ও ঢাক-ঢোল বাজিয়ে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।