
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির একমাত্র পথ জাতীয় নির্বাচন। তবে তার দল প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের পক্ষে নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থাইল্যান্ডে সাত দিনের চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। সংকট নিরসনের একমাত্র পথ দ্রুত জাতীয় নির্বাচন। বিএনপি সবসময়ই বলেছে, সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমেই দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে। তবে আমরা পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে বিশ্বাসী নই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা সংস্কার চাচ্ছে না, সেটা তাদের দলের ব্যাপার। বিএনপি মনে করে দেশের গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।’
ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গেও বিএনপি মহাসচিব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হোক এটাই প্রত্যাশা।’
প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) হলো এমন একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা, যেখানে দলীয় প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সংসদে আসন বণ্টন করা হয়। অর্থাৎ কোনো দল যদি জাতীয়ভাবে ৩০ শতাংশ ভোট পায়, তবে প্রায় ৩০ শতাংশ আসন সেই দল পাবে। এতে ছোট দলগুলোরও সংসদে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ থাকে।
বিএনপির মতে, পিআর পদ্ধতিতে জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ কমে যায়। এতে নির্বাচনী এলাকার সঙ্গে প্রার্থীর সরাসরি সম্পর্ক ক্ষীণ হয়ে যায়, যা গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা দুর্বল করতে পারে।
দলটির ধারণা, বাংলাদেশের মতো দেশে এই পদ্ধতি আরও রাজনৈতিক জটিলতা বাড়াতে পারে এবং মূল সংকট অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের সমাধান দেবে না।
বিএনপি বিশ্বাস করে, সরাসরি ভোটে জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ।