
অফিস সময় শুরুর অনেক পরে দপ্তরে আসেন। আবার চলেও যান অফিস সময় শেষেরও অনেক আগেভাগেই। এমনকি ছুটি না নিয়েই অফিসে অনুপস্থিত থাকেন। আর এসব অনিময় বন্ধ করতে বলায়- উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে- জাতীয় মহিলা সংস্থার যশোর কার্যালয়ের অফিস সহকারী মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দপ্তরটির ওই অফিস সহকারী। উলটো উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন। এদিকে, মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে নানা অসদাচরণের অভিযোগ তুলে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও যশোরের ডেপুটি কমিশনারের (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন জেলা কর্মকর্তা জেসমিন নাহার। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন সংস্থার চেয়ারম্যান ও যশোরের ডিসি আজাহারুল ইসলাম। যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এসব অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন- জেলা কর্মকর্তা জেসমিন নাহার।
সংস্থাটির ওই জেলা কর্মকর্তা জানান, অফিস সহকারী মামুনুর রশিদ নিয়মিত অফিস করেন না। অফিসটিতে কর্মরতদের মধ্যে যে কর্মবন্টন করা হয়েছে- তাতে মামুনুর রশিদকে দপ্তর খোলা ও বন্ধের দায়িত্ব দেওয়া আছে। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্ব পালন করছেন না। অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে বললে উলটো আমাকে আনতে বলেন।
জেসমিন নাহার দাবি করেন, ওই অফিস সহকারী দপ্তর খোলা ও বন্ধের কাজটি না করায় তিনি গত একবছর ধরে সেই দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে অফিসে দুঃসাহসিক চুরি হয়। অফিসের মেইন গেট ও স্টোর রুমের দরজার মোট ৮টি তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে চোরেরা ল্যাপটপ, সিপিইউ, মনিটর, কি-বোর্ড ও পেনড্রাইভসহ ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অফিস সহকারী মানুনুর রশিদের সম্পৃক্ততা আছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
জেসমিন নাহারা জানান, এই দপ্তরটিতে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নারীদের প্রশিক্ষণ ক্লাস চলে। ওই সময় মামুনুর রশিদের ছেলে অফিসে এসে বসে থাকে। ২২/২৩ বছর বয়সী একটি ছেলে এভাবে অফিস চলাকালীন দপ্তরটিতে এসে বসে থাকায় অনেকে অস্বস্তিতে ভোগেন।
তবে এসব বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে অফিস সহকারী মামুনুর রশিদ বলেন, জেলা কর্মকর্তা নিজেই কিছুদিন পর বদলি হয়ে যাবেন। যার কারণে আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যা আপবাদ দিচ্ছেন। তিনি নিজেই নানা অনিয়মে জড়িত।
এ ব্যাপারে যশোরের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) আজাহারুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবেন।