
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় নোয়াখালী জিলা স্কুলের সামনে সড়কে ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফাহিম হাসান খানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছিল।
এ সময়ে সড়কের পাশে অবৈধভাবে থাকা বিভিন্ন গাড়ি ডাম্পিং করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গাড়ির মালিক ও চালকরা মাইজদী শহরের প্রধান সড়ক আটকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর করেন।
খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একাধিক টিম উপস্থিত হয়ে দুপুর ১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নোয়াখালীতে বাস, প্রাইভেট কার ও মাইক্রো চালকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্টভাবে স্ট্যান্ডের জায়গা দেওয়া হয়েছে। প্রাইভেট কার ও মাইক্রোচালকদের জন্য নতুন বাসস্ট্যান্ডের একটি অংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু তারা সেখানে তাদের গাড়ি না রেখে নোয়াখালী জিলা স্কুলের সামনের প্রধান সড়কে এলোমেলোভাবে তাদের গাড়ি রাখেন। এতে শহরজুড়ে যানজট তৈরি হয়। বিভিন্ন সময়ে তাদের এ বিষয়ে নিষেধ করা হলেও তারা তোয়াক্কা করেন না।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একাধিক টিম পাঠানো হয়েছিল। তারা উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে।