
কোটচাঁদপুর উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ চাষি প্রণোদনা হিসেবে ধান বীজ পেয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে চাষিদের হাতে ধান বীজ তুলে দেন কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন। বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চাষিদের চারা নষ্টের সংবাদ দৈনিক রানারে প্রকাশের পর এই উদ্যোগ নেয় উপজেলা কৃষি অফিস।
জানা যায়, টানা বর্ষণে কোটচাঁদপুর উপজেলায় আক্রান্ত হয় ২৫০ হেক্টর জমির ফসল। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৪৬ দশমিক পাঁচ শতাংশ। এ চিত্র তুলে ধরে গেল ৮ আগস্ট দৈনিক রানার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা দৃষ্টিতে আসে কৃষি অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। এর প্রেক্ষিতে ১৫০ কেজি স্বল্প আয়ুষ্কালের বিনা- ৭ ধানের বীজ এসেছে কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসে।
মঙ্গলবার সকালে ওই ধানের বীজ ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের মাঝে বিতরণ করেন কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘টানা বর্ষণে কোটচাঁদপুর উপজেলায় ফসলের ক্ষতি হয়। তার চিত্র গেল কয়েক দিন আগে দৈনিক রানার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিষয়টি দৃষ্টিতে আসে কৃষি অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। এরপর চাষিদের ক্ষতি কিছুটা লাঘবের জন্য ১৫০ কেজি ধানের বীজ প্রণোদনা হিসেবে এসেছে। যা চাষিদের মাঝে দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ওই বীজ ৩০ জন চাষিকে দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, এলাঙ্গীর আলমগীর হোসেন, রহমত উল্লাহ, বলারামপুরের জুলফিকার আলী, গুড়পাড়ার বজলুর রহমান, কাঠালিয়ার রাজন হোসেন, কাঠালিয়া জিহাদ হোসেন রয়েছেন। এ ছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নের চাষির মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ ধানের বীজ বীজতলা থেকে ফসল উঠতে ১০৫ দিন সময় লাগবে। এতে চাষিরা তাদের ক্ষতির কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন।’
কাঠালিয়া গ্রামের চাষি জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টিতে আমার দুই বিঘা জমিতে রোপণযোগ্য ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন কৃষি অফিস থেকে এ ধানের বীজ দিয়েছেন। অফিস থেকে বলা হয়েছে- রোপণের ৮০/৯০ দিনের মধ্যে ফসল কাটা যাবে। এ জন্য নিয়ে আসা। আর ভাল ধান হলে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।’
গুড়পাড়া চাষি বজলুর রহমান বলেন, ‘আমার ১৭ কেজি ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। আমি ইতোমধ্যে বাজার থেকে কিছু ধানের বীজ কিনে বীজতলা দিয়েছি। আর এ বীজগুলোর জন্য আজই বীজতলা তৈরি করবো।’