
বাজার মনিটরিং না থাকায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কোটচাঁদপুরে বেশি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের এমন অভিযোগের বিপরীতে পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের কিছু করার নেই। তবে নির্ধারিত দামের বেশি নিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন- উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান।
কোটচাঁদপুরে ৪ জন পাইকারি ডিম বিক্রেতা রয়েছে। তাদের মধ্যে কামাল হোসেন, রেজাউল ইসলাম ও মাহবুর রহমান ডিম বিক্রি করেন কোটচাঁদপুর বাজারে। আর ফারুক হোসেন বিক্রি করেন চৌগাছা স্ট্যান্ড।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রমতে, এ উপজেলায় ১ লাখ ৪২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। বছরে একজন মানুষ গড়ে ১০৪টি ডিম খেয়ে থাকেন। সে অনুযায়ী বছরে ডিমের চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ। মাসে ৪ লাখ ৯২ হাজার। আর দৈনিক ডিম লাগে ৪০ হাজার।
এ ব্যাপারে ডিম বিক্রেতা মাহবুর রহমান বলেন, আমরা আড়ৎ থেকে ডিম যেমন দামে কিনে আনছি, বাজারে সেই অনুযায়ী বিক্রি করে থাকি। এতে আমাদের কিছু করার নাই।
আরেক ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, বাজারে সব জিনিসের দাম বাড়তি। এ কারণে ডিমের চাহিদা বেশি। সব জিনিসপত্রের দাম কমে গেলে ডিমেরর দামও কমে যাবে।
ক্রেতারা জানান,এক মাস আগে ৩০ টি ডিম ছিল ২৫০ টাকা। তা এখন বেড়ে হয়েছে ৩৪০ টাকা। ডিম প্রতি বেড়েছে ২ টাকা। এজন্য বাজার মনিটরিং না থাকা ও সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন তারা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে সবজিসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়তি হওয়ায় ডিমের চাহিদা বেড়েছে। এ জন্য ডিমের দাম বাড়তে পারে। তবে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি নিতে পারবেন না কেউ।