
যশোরে নাঈম রেজা নামে এক ব্যবসায়ীর ই-মেইল আইডি হ্যাক করে চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হ্যাকার ই-মেইলটি আইডিটি ছাড়াও ওই ব্যবসায়ীর নামে নিবন্ধিত দারাজ সেলার অ্যাকাউন্টের নাম পরিবর্তন করে অন্য নামে ব্যবহার করছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়িক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছাড়াও ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষাসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে তিনি আইনি সহায়তা চেয়ে যশোর কোতয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে নাঈম রেজা উল্লেখ করেছেন, দারাজ সেলার নামে তার একটি অ্যাকাউন্ট আছে। ওই সেলার অ্যাকাউন্টের প্রকৃত নাম ছিল ‘সিনারি আর্ট স্কুল’। গত ২৮ জুলাই সকাল ১০টার দিকে চাঁচড়া চেকপোস্টের বাড়িতে অবস্থানকালে জানতে পারেন যে- তার দারাজ সেলার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে। হ্যাকার ওই অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নাম পরিবর্তন করে ই-প্রোডাক্ট শপ নামে ব্যবহার করছে।
অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, ওই দারাজ অ্যাকাউন্টটি তার ন্যাশনাল আইডি, ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে খোলা ছিল। কিন্তু হ্যাকার তার মূল জি-মেইল অ্যাকাউন্ট [email protected] হ্যাক করে সেটির সাথে যুক্ত ইমেইল পরিবর্তন করেছে। হ্যাকার বর্তমানে দারাজ অ্যাকাউন্টটিতে arman.sheikh@alibaba- inc.com ই-মেইল অ্যাড্রেস ও অন্য মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করছে। হ্যাক হওয়া ওই জি-মেইল অ্যাকাউন্টের সাথে তার ইউটিউব মনিটাইজেশন চ্যানেলও যুক্ত রয়েছে। এতে তিনি আর্থিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
নাইম রেজা জানান, অনেক অনুসন্ধানের পর তিনি হ্যাকারের পরিচয় জানতে পেরেছেন। হ্যাকারের নাম জুয়েল। তিনি একজন প্রফেশনাল হ্যাকার- অর্থাৎ হ্যাক করা তার পেশা। ওই হ্যাকারের বাবার নাম মতিউর রহমান। হ্যাকার জুয়েলদের যশোর শহরের মাইক পট্টিতে মতিয়ার ইলেকট্রিক নামে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নাঈম রেজার দাবি, ওই হ্যাকার তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। ওই পরিমাণ টাকা দিলে ইমেইল আইডি ফেরত দেবেন বলে তাকে জানানো হয়েছে।