রোববার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

১১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোর বিমানবন্দরে অকেজো মালামাল নিলামে অনিয়মের অভিযোগ, দুদকের অভিযান

রানার প্র‌তি‌বেদক

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১১:৩৪, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যশোর বিমানবন্দরে অকেজো মালামাল নিলামে অনিয়মের অভিযোগ, দুদকের অভিযান

অকেজো মালামাল নিলামে বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যশোর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা।  সোমবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়। 

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৩ সদস্য বিশিষ্ট ওই টিমের মধ্যে দুইজন ছিলেন উপ-সহকারী পরিচালক। তারা হলেন, উপ-সহকারী পরিচালক চিরঞ্জীব নিয়োগী ও উপ-সহকারী পরিচালক কৃষ্ণ পদ বিশ্বাস। 

সূত্র জানায়, দুদকের কাছে অভিযোগ ছিল বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোন রোড থেকে উত্তোলিত অকেজো মালামাল (ইট, পাথরসহ ইত্যাদি) নিলামে বিক্রিতে অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে মালামাল বিক্রি না করে চতুর্থ দরদাতার কাছে অকোজো মালামাল বিক্রি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ অর্থাৎ প্রথম হওয়া ঠিকাদারের দেওয়া দর ছিলো ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। কিন্তু তার কাছে এমনকি পরের আরো দুই দরদাতাকে ডিঙিয়ে চতুর্থ দরদাতার কাছে অকেজো মালামাল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ। চতুর্থ দরদাতার দেওয়া দর ছিল ১০ লাখ টাকা।

সোমবার অভিযানকালে ওই কার্যালয়ে ব্যবস্থাপকের দেখা পাননি দুদক কর্মকর্তারা। তিনি ঢাকায় রয়েছেন বলে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক (সহকারী পরিচালক) দুদক কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।

দুদকের ওই টিমের উপ-সহকারী পরিচালক চিরঞ্জীব নিয়োগী জানান, যশোর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকের কার্যালয় থেকে তাদেরকে জানানো হয়েছে, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দরদাতার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে ত্রুটি ছিলো। এ কারণে যথাযথ কাগজপত্র থাকায় চতুর্থ দরদাতার কাছে মালামাল বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে কর্মরতরা দুদক কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক বাতিল হওয়া প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হওয়া দরদাতার কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
তাদেরকে বলা হয়েছে, ব্যবস্থাপক যশোরে ফিরলে ওই ৩ জন ঠিকাদারের কাগজপত্র দুদককে সরবরাহ করা হবে। দুদকের ওই কর্মকর্তা জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলামে ওঠা মালামাল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তারা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের লোকজনকে মালামাল নিয়ে যেতে দেখেছেন।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে তাদের মনে হয়েছে মালামাল নিলামে বিক্রিতে অনিয়ম ছিলো। তবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দরদাতার দেওয়া কাগজপত্র হাতে পেলে তারা বিস্তরিত তথ্য জানতে পারবেন।
 

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ: