
বিসিবি নির্বাচনকে ‘সমঝোতা’ এবং ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নির্বাচন পরবর্তী ক্লাবগুলোর প্রতিবাদী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। তার মতে, যা হয়েছে তা কোনো নির্বাচনই ছিল না এবং একটি ‘অলিখিত সমঝোতা’র সঙ্গেই তিনি একমত হতে পারেননি বলেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিলেন।
বিসিবি নির্বাচনের পর দেশে ফিরেই মুখ খুললেন তামিম ইকবাল। গুলশানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘আমি মনে করি না এটা কোনো নির্বাচন ছিল। কিছু অলিখিত নিয়ম থাকে। আমি ওসব অলিখিত নিয়ম ভাঙতে চেয়েছি। সমঝোতায় একমত ছিলাম না বলেই তো বের হয়ে এসেছি।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা প্রথম দিন থেকেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছিলাম, দুর্ভাগ্যবশত যেটা হয়নি।’
নির্বাচনের দিনে ই-ভোটিং প্রক্রিয়া নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন তামিম। তিনি নিজের ভোট দেওয়া নিয়ে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘খুবই হাস্যকর জিনিস দেখলাম। ৪২টির মতো ভোট পড়েছে, যার ৩৪টিই ই-ভোট। অথচ এই ৩৪ জন ভোটারই সেদিন ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারাও ই-ভোট দিয়েছেন। আপনি যদি সেন্টারে সারাদিন থাকবেনই, তাহলে ই-ভোটিংয়ের দরকার কী?’
নির্বাচনে দাঁড়ালে নিজের জয় নিয়ে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন জানিয়ে তামিম বলেন, ‘আপনাদের কি মনে হয়, ১৫টি ক্লাব (যাদের ভোটাধিকার বাতিল হয়েছিল) না থাকলেও আমাকে কেউ ভোট দিত না? আমি দাঁড়ালে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে আমি জিতব।’
তামিম আরও বলেন, ‘আমি আপনাকে এতটুকু গ্যারান্টি দিয়ে বললাম, আমি যদি ব্যক্তিগতভাবে দাঁড়াতাম, আমার পক্ষে কোন টিম আছে, বিপক্ষে কোন টিম আছে...তারপরও আমি সহজেই পাস করতাম। এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না। কারণ, আমি এটা বিশ্বাস করি, আমরা সবাই ক্রিকেটের স্বার্থে আছি।’
এদিকে নির্বাচনের আগে লিগ বর্জনের হুমকি দিয়ে রেখেছিল নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ক্লাবগুলোর একটি পক্ষ। এবার তারা জেলা–বিভাগেও ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।