
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় প্রধান আসামি ফজর আলী (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ (রোববার, ২৯ জুন) রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। এ ঘটনায় আরো চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার মুরাদনগরে গত ২৬ জুন রাত ৮টায় মুরাদনগর থানাধীন রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের ফজর আলী (৩৬) নামে ব্যক্তি এক নারীকে ধর্ষণ করলে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে তাকে আটক করে মারধর করেন।
পরবর্তীতে আহত ফজর আলী সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে। ভিকটিমের লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান জানান, আজ ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে ধর্ষন মামলার মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণের মূল আসামিসহ ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার অভিযোগে জড়িত মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
এর আগে, ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে মুরাদনগর এলাকার চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন— অনিক, সুমন, রমজান, বাবু।