বুধবার ১৫ অক্টোবর ২০২৫

২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নড়াইল জেলা হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম নেই, সাপের দংশনে ৯ মৃত্যু

রানার ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১১, ৩১ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৬:৪৫, ৩১ আগস্ট ২০২৫

নড়াইল জেলা হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম নেই, সাপের দংশনে ৯ মৃত্যু

গত দেড় মাস ধরে নড়াইল জেলা হাসপাতালে সাপের দংশনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিভেনামের সরবরাহ নেই। এরমধ্যে গত দুই মাসে জেলাটিতে সাপে দংশনের শিকার হয়ে ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুতই অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ পাওয়া যাবে।

নড়াইল সদরের মুলিয়া ইউনিয়নের দুর্বাজুড়ি গ্রামের রবিন বিশ্বাসের ছেলে নারায়ণ বিশ্বাস।  গত ১৮ আগস্ট তাকে সাপ দংশন করে। কবিরাজের কাছে নিয়ে ঝাড়ফুঁক করে কাজ না হওয়ায় জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অ্যান্টিভেনম না থাকায় খুলনায় নেওয়ার পথে মারা যান নারায়ণ। 

বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের চরশালিখা গ্রামের কায়েস শেখের চার বছর বয়সী মেয়ে মুনিয়াকে ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় সাপ কমাড়ায়।  ঝাড়ফুঁকে কাজ না হওয়ায় রাত ১১টার দিকে জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়।

শুধু নারায়ণ বিশ্বাস বা মুনিয়া নয়; সাপের দংশনে গত দুই মাসে কালিয়া, লোহাগড়াসহ জেলায় অন্তত ৯ জন মারা গেছেন।  তাদের মধ্যে ১৭ আগস্ট সদরের চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামের শাম মুন্সীর ছেলে টিপু মুন্সী, ২৬ জুলাই কালিয়ার উথলি গ্রামের শিমুল শেখের ছেলে সজিব শেখ, ২৫ জুলাই লোহাগড়ার কাশিপুর ইউনিয়নের ইশানগাতি গ্রামের নাঈম শেখ, ২৪ জুলাই একই ইউনিয়নের শালবরাত গ্রামের আনারুল শেখের মেয়ে মাবিয়া (১০), ২ জুলাই সদরের তুলারামপুর ইউনিয়নের মালিডাঙ্গা গ্রামের মশিয়ার সিকদারের ছেলে রাতুল সিকদার (১২), ২৪ জুন সদরের মাইজপাড়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ ফণীভূষণ দাস (৫০) ও ২২ জুন শাহাবাদ ইউনিয়নের চরবিলা গ্রামের সালাম মোল্যার ছেলে সাহাবুদ্দিন মোল্যা (২৮) মারা যান।

জেলা হাসপাতালের স্টোরকিপার এহসানুল হক তানভীর জানান, বিষধর সাপে কাটলে সাধারণত রোগীকে এক ডোজ (১০ পিস) অ্যান্টিভেনম দিলে সুস্থ হয়ে ওঠেন। হাসপাতালে গত দেড় মাসে এক ডোজ অ্যান্টিভেনমও সরবরাহ করা হয়নি। বাজারে এক ডোজ অ্যান্টিভেনমের দাম ১৫ হাজার টাকা। 

জেলা হাসপাতালের আরএমও ডা. সুজল বকশি বলেন, গত এক বছরে জেলা হাসপাতালে ৭১ জন সাপে কাটা রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৮ জন। বাকি তিন রোগী ওঝার শরণাপন্ন হন। হাসপাতালে আসতে দেরি হওয়ায় চিকিৎসা শুরুর আগেই তারা মারা যান। অ্যান্টিভেনম সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।

সিভিল সার্জন আবদুর রশিদ বলেন, অ্যান্টিভেনমের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সরবরাহ পাওয়া যাবে।
 

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ: