
মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক লিটন গ্রুপের আমঝুপি উত্তর পাড়ার রাজা মেম্বারের ছেলে মোস্তাক রাজা (৩৫)। অপরদিকে, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সমর্থিত গ্রুপের আহতরা হলেন- আমঝুপি পশ্চিম পাড়ার মৃত রহিমের ছেলে কবির (৩০), রবি শেখের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৫৫) ও আমিরুল ইসলামের ছেলে লিজন (৪৫)।
সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক লিটন সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে নেতাকর্মীরা বাসে করে আমঝুপিতে ফেরার পথে সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম গ্রুপের লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাদের সমর্থকদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ছোড়ে এবং হামলা চালায়।
অন্যদিকে, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, বিএনপির সমাবেশের জন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক আলোচনা করছিলাম। এমন সময় ওমর ফারুক লিটন গ্রুপের লোকজন অফিসের সামনে গাড়ি থামিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা শুরু করলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এতে আমাদের ৩ জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী দু’পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে আমঝুপি গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুল হাসান আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান এবং তাদের খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ মেজবা উদ্দীন জানান, বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।